আজকে চিনির দাম কত | what is the price of sugar today

১ কেজি খোলা চিনির দাম ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৩০ টাকা । যা বর্তমান বাজারে এখন চিনির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে । যার দাম কয়েক মাস আগেও প্রতি কেজি ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা বলে ঘোষণা করেছে সরকার । বিশ্ববাজারে কাঁচা চিনির দাম ও ডলারের ঊর্ধ্বগতির কারণে চিনির দাম আগে থেকেই বাড়ছিল । তবে দুই সপ্তাহ আগে সরবরাহ ঘাটতি শুরু হয়।

আর এই সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, বাজারে এখন চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় । এক সপ্তাহে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা । খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় । যা সাধারণ মানুষের জন্য স্বাভাবিকের জন্য খুবই অস্বস্তিকর । আর আজকের চিনির দাম জানতে পারবেন এই আর্টিকেল থেকে । এছাড়াও জানতে পারবেন লাল চিনির দাম, সাদা চিনির দাম, তাজা চিনির দাম, পাইকারি চিনির দাম, ১ কেজি চিনির দাম কত, পাইকারি চিনির বাজার কোথায় ইত্যাদি । সঠিক দাম জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন.

বাজারদর অনুযায়ী আজকের চিনির দাম প্রতি ৫০ কেজি ব্যাগ ৫৮০০ টাকা । এছাড়াও, খোলা বাজারে চিনি আগে ১০৪ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এবং প্যাকেজকৃত পরিশোধিত চিনির দাম আগে ১০৯ টাকা থেকে ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে । তবে বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে চিনির দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি । চিনির দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা নানা যুক্তি তুলে ধরেন ।

এদিকে ভোক্তা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অতিরিক্ত দাম আদায়ের জন্য শুধু জরিমানা আদায় করছেন । ব্যবসায়ীরা জানান, মিল মালিক ও ডিলারদের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে । এছাড়াও পরিবহন খরচ আছে । অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের চিনি বিক্রি বন্ধ করতে দেখা যায় । এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, তারা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চিনি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন । এরপর সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে বিভিন্ন জরিমানা দিতে হয় বলে আপাতত চিনি বিক্রি বন্ধ করে দিচ্ছেন অনেকে । আসুন জেনে নিই সরকার আজ ২০২৩ সালে চিনির দাম কত নির্ধারণ করেছে, ১ কেজি চিনির দাম কত ।

1. 50 কেজির এক ব্যাগ 5800 টাকা

2. খোলা চিনি 1 কেজি 120 টাকা

3. প্যাকেটজাত চিনি 125 টাকা

বাংলাদেশে প্রতি বছর 18 থেকে 2 মিলিয়ন টন চিনির প্রয়োজন হয় । এই 18 থেকে 2 মিলিয়ন টন চিনির মধ্যে বাংলাদেশে মাত্র 1 মিলিয়ন টন চিনি উৎপাদিত হয় । আর বাকি চিনি বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয় । আর বর্তমানে বাংলাদেশে চিনির সংকট রয়েছে । এর প্রধান কারণ বাংলাদেশের চিনি ব্যবসায়ীদের মিল মালিকরা । চিনি ব্যবসায়ীরা দেশে আমদানি করা সব চিনি বন্ধ করার পরিকল্পনা করে দেশে সংকট তৈরি করেছে ।

ফলে সারাদেশে চিনির ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে । আর এই চিনি সংকটকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো চিনির দাম বাড়াচ্ছে । কয়েক মাস আগে চিনির দাম ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা । এর কয়েকদিন আগেও বাজারে চিনি বিক্রি হয়েছিল ৮০ থেকে ৮২ টাকায় । আর চলতি নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পর্যন্ত প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় ।

দেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে যে পরিমাণ চিনি প্রয়োজন, তার মধ্যে দেশে উৎপাদিত হয় ৩০ হাজার মেট্রিক টন । আর বাকি পরিমাণ চিনি বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় । বর্তমান বাজারে সাদা চিনি, লাল চিনি, তাজা চিনি প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে । তবে সাদা চিনির চেয়ে লাল চিনির গুরুত্ব অনেক বেশি এবং পুষ্টিগুণও অনেক বেশি । সাদা চিনির চেয়ে লাল চিনির দাম একটু বেশি । আর দেশে চিনি আমদানির পর থেকেই অসাধু ব্যবসায়ীরা নানাভাবে চিনির দাম বাড়িয়েছে ।

গত নভেম্বরেও লাল চিনির দাম ছিল ৮৫ টাকা, পরে চিনির দাম প্রায় ১৪ টাকা বেড়েছে । আর এক মাসের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ । আর দেশি লাল চিনির প্যাকেট বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩০- ১৩৫ টাকা, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন দোকানে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় । যা ক্রেতাদের কাছ থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে ।

বাজারে কোনো পণ্যের দামে স্বস্তি নেই । সব পণ্যের দাম দ্রুত বাড়ছে । ব্যবসায়ীরা পণ্য মজুদ করছে, দেশে পণ্যের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে । এবং পণ্যের দাম তাদের ইচ্ছামতো নির্ধারণ করে । বাজারে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাকে পাওয়া খুবই কঠিন, অন্যান্য পণ্য পাওয়া গেলেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না । আর যদি পাওয়া যায় তাহলে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ক্রেতাদের কাছে ।

কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ডলারের দাম বাড়ার নানা অজুহাত দেখিয়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে । বাজারে কোনো নির্দিষ্ট দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে না । নভেম্বর থেকে, খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে 102 টাকা এবং প্যাকেট জাতের 108 টাকা কেজি দরে । তবে সাদা চিনি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায় এবং প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় ।

যখন চিনি তৈরি হয়, তখন এটি লাল হিসাবে উত্পাদিত হয় । তাই লাল চিনিতে সব ধরনের উপাদান থাকে । তাই সাদা চিনি ও তাজা চিনির চেয়ে লাল চিনির গুরুত্ব ও পুষ্টি অনেক বেশি । আরে লাল তাকে লাল দেখায় কারণ সে প্রথম অবস্থায় অপরিচিত । পরে, যখন এই লাল চিনি মিহি করা হয়, তখন তা তাজা এবং সাদা চিনিতে রূপান্তরিত হয় । লাল চিনি সাদা এবং তাজা চিনির তুলনায় অনেক বেশি পুষ্টিকর । এবং আরও ক্রেতা । তার পছন্দের আরও অনেকে আছে । বর্তমান বাজারে তাজা চিনির দাম সাদা চিনির মতো বিক্রি হচ্ছে । এই তাজা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় ।

সরকার পাইকারি দাম উল্লেখ করলেও পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে না চিনি । আবার চিনির দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার অ্যাসোসিয়েশন । 17 নভেম্বর, ঘোষণা করা হয়েছিল যে মিল পর্যায়ে চিনির দাম প্রতি কেজি 120 টাকা হবে । আর মিলগেট পর্যায়ে ১ কেজি চিনির প্যাকেটের দাম পড়বে ১৩০ টাকা । গত নভেম্বরে টিসিবির বাজারদর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক মাস আগে ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায় ।

বর্তমানে চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং এক প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায় । তবে বিভিন্ন দোকানে এর দাম অনেক বেশি । বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশীয় চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০ টাকা করা হয়েছে । কিন্তু বর্তমান বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় এবং প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় । আবার কিছু প্যাকেট আছে প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা ।

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি চিনির বাজার রয়েছে । পাইকারি বাজারটি চকবাজার, ঢাকা, বাংলাদেশে অবস্থিত । এখান থেকে কোনো কিছুই বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয় না । সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামে অবস্থিত । পাইকারি বাজারের নাম খাতুনগঞ্জ । এখানে সব আমদানিকৃত চিনি পৌঁছে যায় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে । সব পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়েছেন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ।

1. ঢাকার চকবাজার

2. চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ

সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারটি চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অবস্থিত ।

আবারও বেড়েছে চিনির দাম । রমজানের আগে চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার অ্যাসোসিয়েশন( বিএসআরএ) ।

বিএসআরএ জানায়, পরিশোধিত চিনির( খোলা) দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১০৭ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে । আর পরিশোধিত চিনির( প্যাকেট) দাম ৪ টাকা বেড়ে হয়েছে ১১২ টাকা ।

আগে খোলা চিনির দাম ছিল ১০২ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ছিল ১০৮ টাকা ।

বিএসআরএ জানিয়েছে, নতুন দাম ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে ।

দাম বৃদ্ধির বিষয়ে আমদানিকারক ও শোধনাগার মালিকরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি, ডলারের বিনিময় হার ও উৎপাদন খরচের কারণে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চিনি নতুন দামে বিক্রি করা হবে ।

গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন চিনির দাম কেজিতে ১৪ টাকা বাড়িয়েছিল ।

এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর খুচরা পর্যায়ে সর্বশেষ চিনির দাম বাড়ানো হয়েছিল । সেবার প্যাকেট চিনির দাম ১২ টাকা বেড়ে ৯৫ টাকা থেকে ১০৭ টাকা এবং খোলা চিনির দাম কেজিতে বেড়ে হয়েছে ১০২ টাকা ।

চিনির বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ১০২ টাকা । আর প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৮ টাকা । বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার অ্যাসোসিয়েশন গত ১৭ নভেম্বর এ মূল্য নির্ধারণ করেছে ।

সুতরাং এই মূল্য অনুসারে চিনির বর্তমান বাজার মূল্য হল

1. ১ কেজি চিনির দাম ১০২ টাকা।

2. ২ কেজি চিনির দাম ২০৪ টাকা।

3. ৩ কেজি চিনির দাম ৩০৬ টাকা।

4. ৪ কেজি চিনির দাম ৪০৮ টাকা।

6. ৫ কেজি চিনির দাম ৫১০ টাকা।

আজকে চিনির দাম সম্পর্কে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বা আজকে 1 কেজিতে চিনি কতটা বিক্রি হচ্ছে । আমি আপনাদের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে সঠিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি । আশা করি এখান থেকে চিনির সঠিক দাম জানতে পারবেন এবং চিনির বর্তমান বাজার অবস্থাও জানতে পারবেন । কিছু ভুল হলে, নীচের মন্তব্য বক্সে আমাকে জানান. এরকম সকল তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে সবসময় প্রবেশ করবেন। ধন্যবাদ