কোরবানির ঈদের নামাজের নিয়ম | how to perform eid ul-fitr prayer

শান্তি, ক্ষমা ও নাজাতের বার্তা নিয়ে সকল মুসলিম জাতির কাছে এসেছে পবিত্র রমজান মাস। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর বিদায় নিচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। ঈদ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। মুসলিম উম্মাহ প্রতি বছর দুটি ঈদ উদযাপন করে। ঈদের নামাজ ফরজ। বছরে দুইবার ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ভুলে যান অনেকে।

আমি প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের পোস্ট করে থাকি এইসব পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন

ঈদের নামাজ সাধারণ নামাজের মতো নয়। যেমন ঈদের দুই রাকাত নামাযের জন্য কোন আযান বা ইকামত নেই। এতে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর রয়েছে। এগুলি সংগ্রহ করার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। নিম্নোক্ত নিয়মাবলী

মুসলমানদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব, পবিত্র ঈদুল ফিতর অত্যন্ত আনন্দের সাথে উদযাপিত হয়। বছর ঘুরে ঈদ আসতেই অনেকেই ভুলে যায় ঈদের নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও তাকবীর। ঈদুল ফিতরের নামাজ সঠিকভাবে আদায় করার নিয়ম, নিয়ত ও তাকরীব এখানে দেওয়া হল

কোরবানির ঈদের নামাজের নিয়ম | পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম | how to perform eid ul-fitr prayer

ঈদের চাঁদ দেখার পর অর্থাৎ ৩০ রমজানের ইফতারের পর সর্বপ্রথম তাকবীর বা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে তাকবীর পাঠ করা। এটা ঈদের প্রথম কাজ। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে তাকবীর পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন এভাবে

وَلِتُكْمِلُواْ الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ اللّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

আর তোমার কাছে আল্লাহর মহিমা বর্ণনা কর, যাতে তুমি কৃতজ্ঞ হতে পার। (সূরা বাকারা আয়াত 185)

তাকবীর হল-

اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد

উচ্চারণ 'আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।'

ঈদের নামাজের নিয়ত نَوَيْتُ أنْ أصَلِّي للهِ تَعَالىَ رَكْعَتَيْنِ صَلَاةِ الْعِيْدِ الْفِطْرِ مَعَ سِتِّ التَكْبِيْرَاتِ وَاجِبُ اللهِ تَعَالَى اِقْتَضَيْتُ بِهَذَا الْاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ

উচ্চারণ 'নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়্যাহ লিল্লাহি তালা রাকাতাইন সালাতিল ইদিল ফিতরি মা সিত্তাতিত তাকবিরতি ওয়াজিবুল্লাহি তালা ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমামি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি' আল্লাহু আকবার'।'

অর্থ আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে এই ইমামের পিছনে কেবলার দিকে মুখ করে অতিরিক্ত ৬টি তাকবীর দিয়ে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামায পড়ছি-' আল্লাহু আকবার'।

ঈদের নামাযের নিয়মঃ প্রথম রাকাতে ইমামের সাথে তাকবীরে তাহরিমা' আল্লাহু আকবার' বলার উভয় হাত বাঁধা । তাকবীরে তাহরিমার পর ছানা পাঠ করা( সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারকাসমুকা ওয়াতালা যদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা)।

তারপর অতিরিক্ত ৩ তাকবীর দিবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবীরে উভয় হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেওয়া। তৃতীয় তাকবীরে তাহরিমার মতো তাকবীরে উভয় হাত আঁকড়ে ধরা। তারপর নিয়মিত নামাজের মতো রুকু ও সিজদা করে প্রথম রাকাত শেষ করুন ।

দ্বিতীয় রাকাতে সূরা পড়ার পর অতিরিক্ত ৩ তাকবীর দেওয়া। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবীরে উভয় হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেওয়া।

তৃতীয় তাকবীরে তাহরিমার মতো তাকবীরে উভয় হাত আঁকড়ে ধরা। তারপর রুকুর তাকবীর দিয়ে রুকুতে যাওয়া। সেজদা করা। একটি সভায় বসা; তাশাহহুদ, দরূদ, দুয়া মাসুরা পাঠ এবং সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামায শেষ করা ।

সালাম ফেরানোর পর তাকবির পড়া- اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد

কোরবানির ঈদের নামাজের নিয়ম | পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম | how to perform eid ul-fitr prayer

উচ্চারণ' আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ ।'

কোরবানির ঈদের নামাজের নিয়ম| পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম| how to perform eid ul- fitr prayer


ঈদের নামাজ কিভাবে আদায় করবেনঃ


1. প্রথমত, সাধারন নামাযের মত তাকবীরে তাহরিমা বলার সময় হাত গুটিয়ে নিতে হবে । তারপর ছানা পড়ুন।

2. তারপর অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর বলুন । প্রথম দুই তাকবিরে হাত তুলে ছেড়ে দাও এবং তৃতীয় তাকবিরে হাত বেঁধে দাও।

3. তারপর আউজ্জুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ার পর ইমাম সূরা ফাতিহা পাঠ করেন এবং এর সাথে আরেকটি সূরা যোগ করেন।

4. তারপর যথারীতি রুকু ও সিজদা করে প্রথম রাকাত শেষ করুন ।

5. দ্বিতীয় রাকাতে, ইমাম রুকুতে যাওয়ার আগে কিরাত পড়ার পর অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর দেবেন । প্রতিটি তাকবীরের সাথে হাত উঠান এবং ছেড়ে দিন । তারপর চতুর্থ তাকবীর বলে রুকুতে চলে যান ।

6. তারপর যথারীতি নামাজ শেষ করুন ।

7. নামাজের পর ইমাম মিম্বরে উঠবেন । দুটি খুতবা দাও । এ সময় ইমামের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। কথা বলবেন না বা অন্য কাজে নিয়োজিত হবেন না ।

8. খুতবা শেষে সবাই ঈদগাহ ত্যাগ করবে ।

ঈদুল ফিতরের সালাতের উদ্দেশ্য (আরবী) নাওয়ায়েতু আন উসাল্লিয়্যাহ লিল্লাহি তায়ালা রাকিয়াত সালাতি ঈদুল ফিতর, মায়া ছিত্তাতি তাকবীরতি ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার ।

ঈদুল ফিতরের নামাযের নিয়ত (বাংলা) ইমামের পিছনে কেবলার দিকে মুখ করে দুই রাকাত ফরয ঈদুল ফিতরের নামায ছয় তাকবীর দিয়ে পড়ি ।

কোরবানির ঈদের নামাজের নিয়ম| পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম| how to perform eid ul- fitr prayer


কোরবানির ঈদের নামাজের নিয়ম | পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম | how to perform eid ul-fitr prayer

আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ 6 তাকবীর দিয়ে আদায় করছি, ইমামের পিছনে তারের দিকে মুখ করে-' আল্লাহু আকবার' বলার নিয়তে, হাত তুলে তাহরীমা বাঁধুন । তারপর সানা( সুবহানাকাল্লাহুম্মা) পুরোটা পড়বে ।

তারপর আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহর পূর্বে তিনবার আল্লাহু আকবার বলে তাকবীর বলুন । প্রথম দুইবার কান পর্যন্ত হাত তুলুন এবং ছেড়ে দিন । তবে তৃতীয়বার হাত বাঁধবে । প্রতি তাকবীরের পর তিনবার সুবহানাল্লাহ বললে পরিমাণ বন্ধ হয়ে যাবে ।

অতঃপর সূরা ফাতিহায় আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পাঠ করা এবং এর সাথে একটি সূরা যোগ করা । তারপর রুকু, সেজদা এবং দ্বিতীয় রাকাতে দাঁড়ান । এবার অন্যান্য নামাজের মতো বিসমিল্লাহর পর সূরা ফাতেহা পড়ে আরেকটি সূরা যোগ করুন । তারপর তিনবার আল্লাহু আকবার বলে তিন তাকবীর পূর্ণ করবে । এখানে প্রতি তাকবীরের পর আপনি আপনার হাত ছেড়ে দেবেন এবং চতুর্থবার' আল্লাহু আকবার' বলবেন এবং হাত না ধরে রুকুতে যাবেন । অতঃপর সেজদা ও আখিরি মিলিত হবে এবং যথারীতি সালাম ফিরাবে এবং নামাজ শেষ করবেন ।

ঈদের জামাত সম্পর্কিত মাসয়ালা


ইমাম সাহেব জুমার মতো দু’টি খুতবা দেবেন । তবে জুমার খুতবা দেওয়া ওয়াজিব এবং ঈদের খুতবা দেওয়া সুন্নত । তবে ঈদের খুতবা শোনা ওয়াজিব । এ সময় কথা বলা, হাঁটাচলা, টাকা তোলা ইত্যাদি নিষিদ্ধ ।
ঈদের নামাজের আগে নফল নামাজ পড়া মাকরূহ, সে নারী হোক বা পুরুষ, ঘরে হোক বা মসজিদে হোক বা ঈদগাহে । সম্ভব হলে একসঙ্গে ঈদের নামাজ এক জায়গায় আদায় করা উত্তম । তবে কিছু কিছু জায়গায় পড়া জায়েয আছে ।

ঈদের নামায আদায় করতে না পারলে বা নামায নষ্ট হয়ে গেলে তার কাযা আদায় করতে হবে না, যেহেতু ঈদের নামাযের জন্য জামাত করা শর্ত । তবে কিছু লোকের ঈদের নামায তাড়াহুড়ো করে বা নষ্ট হলে তারা অন্য কাউকে ইমাম বানিয়ে ইমামতি করতে পারে ।

যদি কেউ সালামের পর দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেবকে দেখতে পায়, যখন ব্যক্তি চলমান রাকাতে( প্রথম রাকাতের জন্য) দাঁড়ায়, প্রথমে সানা( সুবহানাকাল্লাহুম্মা) বলবে, তারপর আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পাঠ করবে, ফাতেহা পাঠ করা এবং কিরাতের পর রুকুর পূর্বে তাকবীর বলা । ফাতেহার আগে নয় ।

ঈদের নামাজের নিয়ম- কানুন ও জরুরি কিছু মাসয়ালা


ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ফরজ নামায ৬ তাকবীর দিয়ে পড়া, ইমামের পিছনে তারের দিকে মুখ করে হাত তুলে তাহরিমার নিয়তে ‘ আল্লাহু আকবার ’ বলা । তারপর সানা( সুবহানাকাল্লাহুম্মা.) পুরোটা পড়বে । অতঃপর আউজ্জুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহর পূর্বে তিনবার আল্লাহু আকবার বলে তাকবীর বলুন । প্রথম দুইবার হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিবে ।

তবে তৃতীয়বার হাত বাঁধবে । প্রতি তাকবীরের পর তিনবার সুবহানাল্লাহ বললে পরিমাণ বন্ধ হয়ে যাবে । তারপর সূরা ফাতিহায় আউজ্জুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পাঠ করলে একটি সূরা যোগ হবে । তারপর রুকু, সেজদা এবং দ্বিতীয় রাকাতে দাঁড়ান । এখন অন্যান্য নামাজের মতো বিসমিল্লাহর পর সূরা ফাতেহা পড়লে আরেকটি সূরা যোগ হবে । তারপর তিনবার আল্লাহু আকবার বলে তিন তাকবীর পূর্ণ করবে । এখানে প্রতি তাকবীরের পর হাত ছেড়ে দেওয়া হবে এবং চতুর্থবার আল্লাহু আকবার বলার পর হাত না ধরে রুকুতে যাবে । অতঃপর সাজদা ও আখিরি মিলিত হয়ে যথারীতি সালাম ফিরাইয়া নামাজ শেষ করি ।

ঈদের মাসয়ালা


1. মসজিদের বিছানা, চাটাই, চাদর ইত্যাদি ঈদগাহে নিয়ে যেতে হবে ।- ফাতাওয়ায়েহ শামীঃ৩/৩৫৯

2. যে ব্যক্তি তার দাড়ি কামানো বা এক মুষ্টির কম কাটে তার জন্য এটা জায়েজ নয় । একই বিধান ঈদ ও অন্যান্য নামাজের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য । ইমামতির সময় ওয়ারিশ দাবি গ্রহণযোগ্য নয় । বরং শরীয়তের দৃষ্টিতে ইমামতির যোগ্য হওয়া জরুরি ।- আদ্দুররুল মুখতারঃ২/৫৫৯

3. বাড়িতে বা ঈদগাহে ঈদের নামাযের আগে নফল পড়া হারাম । ঈদের জামাতের পরও ঈদগাহে নফল নামাজ পড়া মাকরূহ । হ্যাঁ, ঘরে ফিরে ইশরাক, চাশত নফল পড়তে কোনো অসুবিধা নেই ।- আদ্দুররুল মুখতারঃ২/১৬৯

4. ঈদের সালাতের সালাম ফেরানোর পর দোয়া করা মুস্তাহাব । ঈদের খুতবার পর নামায পড়া মুস্তাহাব নয় ।- মুসনাদে আহমাদ 2218

5. শরয়ী ওজর ব্যতীত মসজিদে ঈদের নামায আদায় করা সুন্নাতের একটি খালাফ ।- আদ্দুররুল মুখতারঃ২/১৬৯

6. যদি ইমাম ভুলবশত অতিরিক্ত তাকবীর না বলে এবং ঈদের জামাত অনেক বড় হয়, তাহলে ফিতনার ভয়ে সেজদায় রুকু করা ওয়াজিব নয় । তাই সেজদায় রুকু করো না । আর যদি এমন হয় যে উপস্থিত সবাই সিজদায়ে সাহু সম্পর্কে অবগত হতে পারে তাহলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে ।- আদ্দুররুল মুখতারঃ২/৯২

7. ঈদের দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর তাকবীর ওয়াজিব । যদি কেউ দ্বিতীয় রাকাতের রুকুতে যোগ দেয় তাহলে প্রথমে দাঁড়িয়ে তাকবীরে তাহরীমা বলবে । অতঃপর দাঁড়ানো অবস্থায় হাত উঠান এবং অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর বলুন । রুকু তাকবীর বলার পর রুকুতে শামিল হবে ।- আদ্দুররুল মুখতারঃ২/১৭৪

8. কেউ যদি প্রথম রাকআতে রুকুর আগে জামাআতে যোগ দেয় এবং তাকবীরে তাহরীমার পরে দাঁড়িয়ে হাত তুলে অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর বলার সুযোগ না পায়, তবে তাকে রুকুতে গিয়ে অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর বলতে হবে । তবে সেক্ষেত্রে হাত কান পর্যন্ত উঠাবে না ।- আদ্দাররুল মুখতারঃ১/২৭৪

9. প্রথম রাকাতে তাড়াহুড়ো করলে ইমামের সালামের পর দাঁড়িয়ে প্রথমে সূরা- ক্বারাআত পড়তে হবে । অতঃপর রুকুর পূর্বে তিনবার হাত উঠিয়ে তিন তাকবীর দিবে । অতঃপর রুকু তাকবীর বলে রুকু ও সিজদা করুন এবং নিয়মানুযায়ী নামাজ শেষ করুন ।- রুদ্দুল মুহতারঃ২/১৭৪

10. ঈদের মাঠে জানাযার নামায পড়া জায়েয । প্রথমে ঈদের নামাজে জানাজা ও পরে খুতবা হবে ।- রদ্দুল মুহতারঃ৪/৩৫৬)

11. বর্তমানে খতিব সাহেবগণ ঈদের খুতবার শুরুতে এবং কখনো কখনো তাকবীরে তাশরীফ বলেন নির্ভরযোগ্য কিতাবে এর কোনো প্রমাণ নেই । বরং এ ব্যাপারে সঠিক বিষয় হলো- প্রথম খুতবার শুরুতে নয়বার, দ্বিতীয় খুতবার শুরুতে সাতবার এবং মিম্বর থেকে নামার আগে দ্বিতীয় খুতবা শেষে চৌদ্দবার । এটাই মুস্তাহাব । খুৎবার সময় বা খুৎবার মাঝে তাকবীরে তাশরীক বলবেন না । হ্যাঁ, ঈদের নামায শেষে সালাম ফিরিয়ে একবার তাকবীরে তাশরীক বলা ।- আদ্দুররুল মুখতারঃ২/১৭৫

12. নামাজের পর ঈদের দুই খুতবা শোনা ওয়াজিব । খুতবা না শুনলে চুপচাপ বসে থাকবে । অনেকে সালামের পর খুতবা না শুনে চলে যান, এটা সুন্নাতের পরিপন্থী ।- আদ্দুররুল মুখতারঃ২/১৫৯

13. খুতবা চলাকালীন কথা বলা নিষিদ্ধ । এমনকি নবী করীম( সাঃ) এর নাম উল্লেখ করলেও দরূদ বলা হারাম । তবে আপনি হৃদয় দিয়ে পড়তে পারেন । একইভাবে খুতবার সময় দান বাক্স বা রুমাল বহন করাও হারাম এবং গুনাহ ।- মুসনাদে আহমাদ 10140

14. উভয় খুতবা শেষ হলে, ঈদের নামাযের সমস্ত কাজ শেষ- এরপর ঈদের আর কোন কাজ বাকি থাকে না । তাই খুতবা শেষ হলে সবাই যার যার ঘরে ফিরে যাবে । আজকাল দেখা যায়, ঈদের খুতবা শেষে লম্বা মোনাজাত করা হয় । এটা মুস্তাহাব নয়, তখন মানুষের মধ্যে পরচর্চার ভিড় থাকে, অথচ ঈদের সুন্নত হলো পরচর্চা না করা । তাই একে ঈদের সুন্নত মনে করা ভুল । বরং দেখা করা সুন্নত । অনেকদিন পর ভাইয়ের সাথে দেখা হলে প্রথমেই এক্সচেঞ্জ করবেন শুভেচ্ছা. পরে তারা ঠাট্টা- তামাশা করবে । তাই ঈদের নামাজের আগে দেখা হলেই হয়ে যাবে । আর ঈদের খুতবার পর যদি এমন কারো সাথে দেখা হয়, তাহলে হাসবেন । এমন করো না যেনো মিলন নামাজের আগে হয় কিন্তু আলিঙ্গন হয় খুতবার পরে ।- ফাতাওয়ায়ে শামীঃ৬/৩৮১

ঈদের জামাত সম্পর্কিত মাসয়ালা


1. সম্ভব হলে একসঙ্গে ঈদের নামাজ এক জায়গায় পড়া উত্তম । তবে কিছু কিছু জায়গায় পড়া জায়েয আছে।

2. যদি আপনি ঈদের সালাত আদায় করতে অক্ষম হন বা সালাত নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আপনাকে এর কাযা আদায় করতে হবে না, কারণ ঈদের নামাযের জন্য জামাত করা শর্ত । তবে কিছু লোকের ঈদের নামায তাড়াহুড়ো করে বা নষ্ট হলে তারা অন্য কাউকে ইমাম বানিয়ে ইমামতি করতে পারে ।

3. কোনো শরিয়ত- সম্মত কারণে যদি কেউ 1লা শাওয়ালের দুই ঘণ্টার আগে ঈদের সালাত আদায় করতে না পারে তবে শাওয়ালের 2 তারিখে সালাত আদায় করা বৈধ । এরপর আর নামাজ পড়া যাবে না ।

4. যদি কেউ দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেবকে দেখতে পান, সালামের পরে, যখন ব্যক্তি চলমান রাকাতে( প্রথম রাকাতের) জন্য দাঁড়ায়, তখন প্রথমে সানা( সুবহানাকাল্লাহুম্মা) বলুন, তারপর আউজ্জুবিল্লাহ পড়বেন । বিসমিল্লাহ, সূরা ফাতেহা পাঠ করুন এবং ক্বিরাতের পর রুকুর আগে তাকবীর বলুন । সূরা ফাতেহার আগে নয়।

5. যদি কোন ব্যক্তি তাকবীর শেষে ইমাম সাহেবের সাথে সাক্ষাত করে তবে তাকে তাকবীরে তাহরীমা বেঁধে প্রথমে ওয়াজিব তিন তাকবীর বলতে হবে । আর রুকু করলে, তাকবীর বলেও ইমাম সাহেবকে সেজদা করবেন বলে যদি দৃঢ় বিশ্বাস থাকে, তাহলে তাহরীমা করে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলবেন, তারপর রুকুতে যাবেন । আর যদি এমন সম্ভাবনা থাকে যে ইমাম সাহেব দাঁড়িয়ে তাকবীর পাঠ করার সময় রুকু করতে পারবেন না, তাহলে তিনি তাহরিমা বেঁধে রুকুতে যাবেন এবং রুকু তাসবীহ না বলে প্রথমে তাকবীর বলবে, রুকুতে তাকবীর বলার সময় প্রথমে তাকবীর বলবে । হাত উঠান এবং সময় থাকলে রুকু তাসবীহ করবেন, না থাকলে তা করবেন না । আর ইমাম যদি তাকবীর শেষ করার আগে রুকু থেকে মাথা তুলে ফেলেন, তাহলে তিনিও মুক্তাদীকে সরিয়ে দেবেন । তাকবীর ছেড়ে দিলে তা ক্ষমাযোগ্য ।

ঈদের নামাজ আদায় পদ্ধতি


1. ঈদের নামায দুই রাকাত, আযান ছাড়া । ঈদের নামাযের কিরাত প্রকাশ্যে পড়তে হবে । ঈদের নামাজ পড়ার পদ্ধতি নিম্নরূপ

2. প্রথম রাকাতে তাহরিমা, ছানা, আউযুবিল্লাহ ও কিরাত পড়ার পর তিনটি তাকবীর দেবে ।

3. আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ার পর সূরা ফাতিহা পাঠ করলে এর সাথে আরেকটি সূরা যোগ হবে । সূরা ফাতিহার পর সূরা আলা পাঠ করা সুন্নত । আর দ্বিতীয় রাকাতে সূরা গাশিয়া পাঠ করা । অথবা প্রথম রাকাতে সূরা ক্বাফ এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা আল কামার পাঠ করা ।

৪. দ্বিতীয় রাকাতে কিরাত পড়ার পর রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর দাও । প্রত্যেক তাকবীরে হাত উঠানো হবে ।

5. তাকবীর মধ্যে আল্লাহTa'ala প্রশংসা হবে. সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের উপর ।

6. সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করার পর ইমাম মিম্বরে উঠবেন । তিনি দুটি খুতবা দেবেন । এই দুজনের মধ্যে কিছুক্ষণ বসবে । নয়টি তাকবীর দিয়ে প্রথম খুতবা শুরু হবে । আর দ্বিতীয় খুতবা শুরু হবে সাত তাকবীর দিয়ে ।

7. ঈদুল ফিতরের দিনে মানুষকে দান- খয়রাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া মুস্তাহাব । এবং ঈদুল আজহায় কুরবানীর নিয়ম- কানুন সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেওয়া ।

ঈদের নামাজ আদায়ের জায়গা


ঈদের নামাজ মসজিদে নয়, মাঠে পড়া সুন্নত । মসজিদে পড়ার প্রয়োজন হলে কোন সমস্যা হবে না ।

ঈদের নামাজের মুস্তাহাবসমূহ


1. ইমাম ব্যতীত অন্য মুসল্লিরা ভোরে ঈদগাহে আসবেন এবং প্রথম সারির দিকে যাবেন ।

2. সম্ভব হলে এক পথে হাঁটুন এবং অন্য পথে ফিরুন । জাবির রাজি হয় । বর্ণনা করেন এবং বলেন, ঈদের দিন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাওয়া- আসার রাস্তার মধ্যে পার্থক্য করতেন ।( বুখারী বর্ণনা করেছেন)

3. ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য বের হওয়ার আগে বিজোড় সংখ্যক( তিন বা পাঁচ) খেজুর খাওয়া । আর ঈদুল আযহার নামাজ থেকে ফিরে আসার আগে কিছু খাবেন না

ঈদুল ফিতরের নামায দেরিতে আদায় করা মুস্তাহাব; যাতে মানুষ সদকায়ে ফিতর আদায় করে যোগ্যদের কাছে পৌঁছে দিতে পারে । অপরদিকে ঈদুল আযহার নামায খুব ভোরে আদায় করা মুস্তাহাব

দুই ঈদের আহকাম
1. ঈদের নামাযের আগে ও পরে ঈদগাহে নফল নামায পড়া মাকরূহ । কিন্তু ঈদের নামায মসজিদে পড়া হলে মসজিদে প্রবেশের সময় তাহিয়্যাতু পাঠ করা শুদ্ধ ।

2. যে ব্যক্তি ঈদের সালাত সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ছুটে যায় তার জন্য ঈদের সালাত আদায়ের পদ্ধতি অবলম্বন করে তা পূরণ করা সুন্নত । অর্থাৎ অতিরিক্ত তাকবীর দিয়ে দুই রাকাত ঈদের নামায পড়া । ঈদের নামায আদায় করে মিস করা অংশ পূর্ণ করুন ।

3. রমজানের শেষে, আল্লাহ তায়ালা আদেশ করেছেন যে তাঁর বান্দাদেরকে তাকবীর বলতে হবে এবং আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা করতে হবে । আল- কুরআনে বলা হয়েছে

شَهۡرُ رَمَضَانَ ٱلَّذِيٓ أُنزِلَ فِيهِ الُرْءَانُ هُدٗى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنتٖ مِّنَ الهُدَىٰ وَلّفُرْرْقَهَانِ وَلّفُرْ رَمَّهُ مُكَانِۚ فَمَن شَهِدَمُهُ ُٖ وَمَنَ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ مِّ أَيَّامٍ أُخَرَۗ يُريدُ اللَّهُ بِكُمُ اليُسْرَ وَلَا يُلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ مِّ أَيَّامٍ أُخَرَۗ يُريدُ اللَّهُ بِكُمُ اليُسْرَ وَلَا يُلَىٰ سَفَرٖ碳ِدَّةَ وَلِتُكَبِّ 185)

এবং যাতে আপনি সংখ্যাটি সম্পূর্ণ করতে পারেন এবং তিনি আপনাকে যে নির্দেশনা দিয়েছেন তার জন্য আল্লাহর প্রশংসা করতে পারেন ।}

সূরা বাকারা (185)

4. উল্লিখিত আয়াতে" তুকাব্বিরুল্লাহ" এর অর্থ হল আপনি আপনার অন্তর থেকে এবং আপনার জিহ্বা দিয়ে আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা করুন । ঈদের সময় আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করতে হবে এবং তাকবীর দিতে হবে

ঈশ্বর মহান, ঈশ্বর মহান, ঈশ্বর মহান, ঈশ্বর মহান, ঈশ্বর মহান, ঈশ্বর মহান

5. উচ্চ স্বরে তাকবীর দেওয়া পুরুষদের জন্য সুন্নত । আর নারীরা দেবে গোপনে । কারণ নারীদের তাদের কণ্ঠস্বর নিচু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

6. ঈদের রাতে সূর্যাস্ত থেকে ঈদের নামাজ শুরু হওয়া পর্যন্ত তাকবীর শুরু হবে । সূর্যাস্তের পর তাকবীর শুরু হবে যদি সূর্যাস্তের আগে নিশ্চিত হয়ে যায় যে পরের দিন ঈদ হবে, যেমন রমজান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ হলে বা ঈদের চাঁদ উদিত হওয়ার নিশ্চিত হওয়া যায় ।

ঈদের নামাজ


ঈদের নামাজের জন্য আযান ও ইকামত নেই । তবে জুমার নামাজের মতোই উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত করে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে । তবে ঈদের নামাযের পার্থক্য হল অতিরিক্ত ছয় তাকবীর দিতে হবে ।

প্রথম রাকাতে' আল্লাহু আকবার' বলে অতিরিক্ত তিন তাকবীর সহ সূরা ফাতিহা পাঠ করা ।

দ্বিতীয় রাকাতে সূরা পাঠের পর অতিরিক্ত তিন তাকবীর দিয়ে রুকাত আদায় করা হয় ।

নামাজের নিয়ত


এই ইমামের পিছনে কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর সহ ঈদের দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করাহচ্ছে.আল্লাহু আকবার ।

প্রথম রাকাত


1. তাকবীরে তাহরিমা
তাহরিমা ঈদের নামাযের নিয়তে তাকবীরে' আল্লাহু আকবার' বলা ।

2. সামান্য পড়া
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারকাসমুকা ওয়াতালা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা ।

3. অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর দেওয়া ।
তিন তাসবীহ পরিমাণের জন্য এক তাকবীর থেকে অন্য তাকবীর থেকে বিরত থাকা । প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবীরে উভয় হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেওয়া এবং তৃতীয় তাকবীরে উভয় হাত বাঁধা ।

4. আউযুবিল্লাহ- বিসমিল্লাহ পড়া
5. সূরা ফাতিহা পড়া
6. সূরা মিলান । তারপর নিয়মিত নামাজের মতো রুকু ও সিজদা করে প্রথম রাকাত শেষ করুন ।

দ্বিতীয় রাকাত


1. বিসমিল্লাহ পড়া
2. সূরা ফাতিহা পড়া
3. সূরা মিলান।

4. সূরা পড়ার পর অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর দেওয়া । প্রথম রাকাতের মত দুই তাকবীরে উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো তারপর তৃতীয় তাকবীর দিয়ে হাত বাঁধা হয় ।

5. তারপর রুকুর তাকবীর দিয়ে রুকুতে যাওয়া ।
6. সেজদা, তাশাহহুদ, দরূদ, দুয়া মাসুরা এবং সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করা ।

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম


ঈদের নামাযের নিয়ত নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তালা রাকাতাইন সালাতিল ঈদিল ফিতরি মা সিত্তাতিত তাকবিরতি ওয়াজিবুল্লাহি তাআলা ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমামি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি' আল্লাহু আকবার' ।

বাংলা অর্থ আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামায অতিরিক্ত ৬ তাকবীর দিয়ে পড়ছি, এই ইমামের পিছনে কিবলার দিকে মুখ করে আল্লাহর জন্য প্রার্থনা করছি-' আল্লাহু আকবার' ।

ঈদের নামাজ আদায়ের পদ্ধতি


1. ঈদের নামায দুই রাকাত, আযান ছাড়া । ঈদের নামাযের কিরাত প্রকাশ্যে পড়তে হবে । ঈদের নামাজ পড়ার পদ্ধতি নিম্নরূপ

2. প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরিমা, ছানা, আউযুবিল্লাহ ও কিরাত পড়ার পর তিনটি তাকবীর দেবে ।

3. আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ার পর সূরা ফাতিহা পাঠ করলে এর সাথে আরেকটি সূরা যোগ হবে ।

৪. দ্বিতীয় রাকাতে কিরাত পড়ার পর রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর দাও । প্রত্যেক তাকবীরে হাত উঠানো হবে ।

5. তাকবীর মধ্যে আল্লাহTa'ala প্রশংসা হবে. সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের উপর ।

6. সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করার পর ইমাম মিম্বরে উঠবেন । তিনি দুটি খুতবা দেবেন । এই দুজনের মধ্যে কিছুক্ষণ বসবে । নয়টি তাকবীর দিয়ে প্রথম খুতবা শুরু হবে । আর দ্বিতীয় খুতবা শুরু হবে সাত তাকবীর দিয়ে ।

7. ঈদুল ফিতরের দিনে মানুষকে দান- খয়রাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া মুস্তাহাব ।

ঈদুল ফিতরের নামাযের নিয়ত (বাংলা) ইমামের পিছনে কেবলার দিকে মুখ করে দুই রাকাত ফরয ঈদুল ফিতরের নামায ছয় তাকবীর দিয়ে পড়ি ।

ঈদুল ফিতরের সালাতের উদ্দেশ্য (আরবী) নাওয়ায়েতু আন উসাল্লিয়্যাহ লিল্লাহি তায়ালা রাকিয়াত সালাতি ঈদুল ফিতর, মায়া ছিত্তাতি তাকবীরতি ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার ।

ঈদুল ফিতরের নামায পড়ার কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মঃ হাত তুলে তাহরীমা করার নিয়তে 'আল্লাহু আকবার' বলা। অতঃপর মুসল্লিরা পাঠ করেন সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারকাসমুকা ওয়াতালা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।

এরপর তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ উচ্চারণ করে তাকবীর বলতে হবে। প্রথম দুইবার হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। তবে তৃতীয়বারের মতো সবাই হাত বেঁধেছে। প্রতি তাকবীরের পর তিনবার সুবহানাল্লাহ বলার বিরতি আছে।

এরপর ইমাম আউজ্জুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পাঠ করার পর সূরা ফাতেহার পর একটি সূরা যোগ করেন। এরপর যথারীতি রুকু ও সিজদা করে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াতে হবে। এখন বিসমিল্লাহ বলার পর সূরা ফাতেহা পড়লে আরেকটি সূরা পড়বে। তারপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তিনবার তিন তাকবীর শেষ করতে হবে। এ সময় প্রত্যেক তাকবীরের পর হাত ছেড়ে দিতে হবে এবং চতুর্থবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত না ধরে রুকুতে যাওয়ার রেওয়াজ আছে। এরপর সাজদা ও আখেরি বৈঠক শেষে সালামের মাধ্যমে মোনাজাত শেষ হয়।

আমি আশা করি যে আপনি পোস্ট পড়ে অনেক খুশি হয়েছে। আর আমরা আশা করি যে, আপনি যে বিষয় পড়তে চেয়েছেন সেই বিষয়টা অবশ্যই পেয়েছে। এরকম সকল তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে সবসময় প্রবেশ করবেন। আমাদের সাইডে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

Next Post Previous Post